জুড়ীতে মাতৃত্বকালীন ভাতা আত্মসাতের অভিযোগ সাব্বিরের বিরুদ্ধে: উপজেলায় নারীদের প্রতিবাদ


প্রকাশের সময় : মে ৩০, ২০২৫, ৮:১৫ পূর্বাহ্ণ / ২৯
জুড়ীতে মাতৃত্বকালীন ভাতা আত্মসাতের অভিযোগ সাব্বিরের বিরুদ্ধে: উপজেলায় নারীদের প্রতিবাদ

জুড়ী: প্রতিনিধি


মৌলভীবাজার জেলার জুড়ীতে মহিলা বিষয়ক অফিসের খন্ডকালীন এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাতৃত্বকালীন ভাতা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হতদরিদ্র ১৫/২০ জন মা মাতৃত্বকালীন ভাতার টাকা না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করে বিক্ষোভ করেন। অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তা বেশ কয়েকবছর ধরে অফিসে খন্ডকালীন কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কর্মরত থাকা অবস্থায় নিজেই প্রাইম ব্যাংকের এজেন্ট শাখা এনে ওই শাখায় হতদরিদ্র মহিলাদের অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণা করে তাদের মাতৃত্বকালীন ভাতার  টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগরা জানান, বিগত বছরে তাদের নাম মাতৃত্বকালীন ভাতায় চড়ান্তভাবে তালিকাভূক্ত হয়। অফিসে ফরম জমা দেওয়ার সময় মহিলা বিষয়ক অফিসের কর্মকর্তা মোঃ সুজা উদ্দৌলার সামনের টেবিলে বসে থাকা সাব্বির আহমেদ সকলের ফাইল নেয়। কাগজপত্র জমা নেওয়ার পর সাব্বির নিজেই (সাব্বিরের নিজস্ব এজেন্ট ব্যাংকিং) প্রাইম ব্যাংকের এজেন্টে শাখায় সকলকে একাউন্ট খুলে দেন। পরে বিভিন্ন সময় সরকার কর্তৃক মাতৃত্বকালীন ভাতা একাউন্টে আসলেও সাব্বির তার এজেন্ট ব্যাংকিং থেকে টাকা দিতে নানা টালবাহানা শুরু করেন‌। কিছু টাকা দেওয়ার পর কৌশলী সাব্বির একাউন্ট থেকে টাকা হ্যাকাররা নিয়ে গেছে এমন কথা বলে নারীদের সাথে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যান। মাসের পর মাস ভোক্তভোগী নারীরা, প্রাইম এজেন্ট ব্যাংক, মহিলা বিষয়ক অফিস ও সাব্বিরের  কাছে ধরনা দিলেও এর কোন সমাধান না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ শুরু করেন। এ সময় বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাবলু সূত্রধরের কাছে গণমাধ্যম কর্মীরা জানতে চাইলে তিনি খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেন।

অভিযোগের বিষয়ে সাব্বির আহমেদের মুঠোফোনে বারবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এবিষয়ে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে কর্মরত মোঃ সুজাউদ্দৌলা সাব্বির এই অফিসে কর্মরত ছিল বিষয়টি স্বীকার করলেও তাকে বাঁচাতে নানা দায়সারা বক্তব্য দিয়ে বিভিন্ন তথ্য গোপন করে বলেন, এ বিষয়ে আমার ম্যাডামের অনুমতি ছাড়া কোন কথা বলতে পারব না।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাবলু সূত্রধরের কাছে গণমাধ্যম কর্মীরা জানতে চাইলে তিনি খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেন।