বিশেষ প্রতিনিধিঃ
মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন কয়েকজন রোগীর শরীরে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন পুশ করার ঘটনার দুই সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত নেয়া হয়নি কোনো ব্যাবস্থা।
গত ১৭ জুলাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন দশ মাস বয়সী শিশু তাকরিম আহমদ, এক বছর বয়সী শিশু ওজিহা আক্তার, আব্দুল বাছিত (৫৫), মোতালিব মিয়া (৫০) এ চারজনকে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন পুশ করার অভিযোগ করেন স্বজনরা। স্যালাইন পুশ করার পর রোগীদের শরীরে নানা জটিলতা দেখা দেখা দিলে হাসপাতালজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
রোগীর স্বজনরা কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সকে জানালে তারা তড়িঘড়ি করে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন গুলো নিয়ে যান। তবে একজন রোগীর স্বজন মেয়াদ উত্তীর্ণ দু’টি স্যালাইন রেখে দেন। সে সময় দায়িত্বে থাকা মিডওয়াইফ সুফিয়া আক্তার ও মেডিকেল অফিসার শরফ উদ্দিন তফাদার নার্সদের ভূলে উল্লিখিত রোগীদের শরীরে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন পুশ করার বিষয়টি নিশ্চিতও করেছিলেন।
পরে গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে তদন্ত কমিটি গঠন করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন জেলার সিভিল সার্জন ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ রুমী।
এরকম স্পর্শকাতর একটি ঘটনার দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কোনো তদন্ত বা ব্যাবস্থা না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোগী ও স্বজনরা।
সিভিল সার্জনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন ব্যাবহার করা হয়েছে তাতে রোগের জন্য হয়তো কাজ করবে না তবে রোগী মারা যাবে না। ঘটনার পর মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারা সুবিধামত সময়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিবেন।
আপনার মতামত লিখুন :